প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ


অক্টোবর ১২ ২০২১

গত ০৩/১০/২০২১ তারিখে সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা এবং অনলাইন পত্রিকায় “ সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেক জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা যাচাই পূর্বক প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি ভুক্তভোগী সুজনের” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদের একাংশে আমাকে জড়িয়ে শেখ আমিনুর রশিদ সুজন যে সব তথ্য উপস্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিত। প্রকৃতপক্ষে গত বছরের ২৩ আগস্ট সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের ছয় লক্ষ টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনাটি অবগত হওয়ার সাথে সাথেই আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করি এবং ওই দিনই সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি জিডি করি। যার নং- ১৩৪৮,তাং-২৭/০৮/২০২০। ২৯ আগস্ট ২০২০ জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) কারো নাম উল্লেখ না করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭২ (জিআর ৬৩৩/২০নং)। মামলাটির তদন্তকালে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তদন্তকালে ২৪ আগস্ট ২০২১ ‘দৈনিক কালের কণ্ঠের বিজ্ঞাপন প্রতিনিধি’ আমিনুর রশিদ সুজনকে উক্ত ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক করে। ওই দিন ডিবি পুলিশ কার্যালয়ে আমাকে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে মোবাইল ফোনে ডাকেন। সেখানে আমরা গিয়ে দেখি আগে থেকেই শেখ আমিনুর রশিদ সুজন ডিবি কার্যালয়ে বসে আছেন। সেসময় পুলিশ সুজনকে আমাদের সন্দেহ হয় কি না জানতে চেয়ে ব্যাংকের ভিডিও ফুটেজ দেখান। পরবর্তীতে ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা সেখানে আসে। এরপর পুলিশ সুপার মহোদয় সুজনসহ সকলকে তার কার্যালয়ে ডেকে পাঠান। সেখানে জেলার উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। সাতক্ষীরা জেলা পরিষদে দীর্ঘদিন ধরে সুজনের উঠাবসা ছিলো। বিশেষ করে বিজ্ঞাপন বিল নেওয়ার জন্য প্রায় আমার দপ্তরসহ জেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে তার অবাধ যাতায়াত ছিলো। অথচ এবিষয়ে আমাকে জড়িয়ে হয়রানির উদ্দেশ্যে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন। এমনকি আমাকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রোশ মূলক বক্তব্য প্রদান করেছেন সুজন। যা অত্যন্ত দু:খজনক। আমি উক্ত মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

মো: আবু হুরাইরা
হিসাব রক্ষক
জেলা পরিষদ,সাতক্ষীরা