মার্কিন সেনা প্রত্যাহার নিয়ে শঙ্কায় পাকিস্তান!


মে ১৩ ২০২১

আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার করা হলে প্রতিবেশী দেশগুলোয় অস্থিতিশীলতা ছড়িয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে পাকিস্তান। এ অঞ্চলে নিরাপত্তাজনিত হুমকি সৃষ্টি হলে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প ঝুঁকির মুখে পড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। নিক্কেই এশিয়ার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা নিয়েই আগাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যেই প্রতিবেশী পাকিস্তান ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে খবর প্রাকাশ পাচ্ছে। দেশটিতে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) মতো নিষিদ্ধ দলগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় হামলার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে বিশ্লেষক ফখর কাকাখেল বলছেন, একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহার এবং অন্যদিকে দুর্বল আফগান সরকারের কারণে এ অঞ্চলটি মারাত্মকভাবে অস্থিতিশীল হয়ে পড়বে। ভবিষ্যতে টিপিপি পাকিস্তান সীমান্তের কাছে আরো নিরাপদ জায়গা করে নিবে। নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনটিতেও বলা হয়েছে, তালেবান সদস্যরা আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোকে অভয়ারাণ্য হিসেবে ব্যবহার করছে।

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আফগানিস্তানের চলমান অনিশ্চয়তা টিটিপিকে পাকিস্তানে হামলার সুযোগ করে দিবে। সম্ভাব্য হামলার স্থানের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলারের চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোরের (সিপিইসি) প্রকল্পগুলোও রয়েছে।

ওয়ারশয়ের ওয়ার স্টাডিজ একাডেমির আফগানিস্তান বিষয়ক বিশ্লেষক প্রজেমিস্লা লেসিনস্কি বলেছেন, ‘কিছু কিছু চীনা বিনিয়োগ প্রকল্প টিটিপির কার্যকলাপের ঐতিহ্যগত অঞ্চলের কাছাকাছি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই এগুলো তাদের নিশানায় পরিণত হবে।’

উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের উপপরিচালক মাইকেল কোগলম্যান নিক্কেইকে বলেছেন, পাকিস্তানে সিপিইসি এখন পর্যন্ত টিটিপির মূল নিশানায় পরিণত হয়নি। তবে অতি সম্প্রতি টিটিপির প্রপাগান্ডায় চীন-বিরোধী মনোভাব ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠী উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনের নির্যাতনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এ মনোভাব বাড়ছে।’

সূত্র: এএনআই