সাতক্ষীরায় ২০ আইনজীবির নামে দ্রুত বিচার আইনে ৩টি মামলা


মে ৩ ২০২১

সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি সমিতির সিনিয়র আইনজীবিদের ল’ চেম্বারের নাম ফলক ভাংচুরের ঘটনায় বারের সাবেক সভাপতি এড. এম শাহ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজামসহ ২০ আইনজীবির নামে দ্রুত বিচার আইনে পৃথক ৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। রোববার সাতক্ষীরার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক মোঃ রেজওয়ানুজ্জামান এর আদালতে এসব মামলা দাখিল করা হয়। বিচারক মামলা ৩টি তদন্ত করে ১৭ মে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, এড. শাহ আলম এবং এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত বারের নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। পরে সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দায়িত্ব পালন না করে লক্ষ লক্ষ টাকা বাজেট বহির্ভূত ভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে খরচ/অপচয় করাসহ গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হন। ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বারের সাধারন সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ করাসহ ১৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী বারের ঐতিহ্য সমুন্নত রাখার স্বার্থে গত ১৮ মার্চ আইনজীবি সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের বার্ষিক নির্বাচন শেষে নতুন কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর ‘সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি ঐক্য পরিষদ’ নামে সর্বদলীয় এক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হন সাবেক সাংসদ এবং বারের সাবেক সভাপতি এড. স ম সালাউদ্দীন। সদস্য সচিব নির্বাচিত হন বারের সাবেক সভাপতি এড. মোঃ আব্দুল মজিদ এবং প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হন সাতক্ষীরা ল’ কলেজের অধ্যক্ষ, সাবেক পিপি এবং বারের সাবেক সভাপতি এড. এস এম হায়দার।

নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সম্প্রতি এক সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এড. শাহ আলম এবং এড. তোজ্জাম্মেল হোসেন তোজাম এর বিগত দিনের গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কার্যকলাপ জনসম্মুখে প্রকাশ পায়। ফলে তারা তাদের সহযোগিদেরকে নিয়ে ‘সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবি ঐক্য পরিষদ’ এর শীর্ষস্থানীয় ৩ কর্মকর্তাসহ অন্যান্য আইনজীবীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি, ক্ষতিগ্রস্থ ও সম্মানহানি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ এপ্রিল দুপুর অনুমান পৌনে একটার সময় এড. এম শাহ আলম, এড. এ এস এম আশরাফুল আলম, এড. সরদার আমজাদ হোসেন ও এড. তোজাম্মেল হোসেন তোজাম এর নেতৃত্বে অন্যান্য আইনজীবী আসামীরা এড. এস এম হায়দার, এড. স ম সালাউদ্দীন ও এড. মোঃ আব্দুল মজিদ এর ল’ চেম্বারের নাম ফলক সহ আসবাবপত্র ভাংচুর করেন এবং ত্রাস সৃষ্টি করেন।

ওই ঘটনায় এড. এস এম হায়দার এর পক্ষে তার জুনিয়ার এড. সেলিনা আক্তার শেলী, এড. স ম সালাউদ্দীন এর পক্ষে তার জুনিয়ার এড. মোঃ নূরুল আমিন এবং এড. মোঃ আব্দুল মজিদ এর পক্ষে তার জুনিয়ার এড. মোঃ শাহিনুজ্জামান শাহীন বাদি হয়ে উল্লেখিত মামলা ৩টি দায়ের করেন।

মামলার আসামীরা হলেন, এড. এম শাহ আলম, এ এস এম আশরাফুল আলম, সরদার আমজাদ হোসেন, তোজাম্মেল হোসেন তোজাম, তপন কুমার দাস, মোঃ ওসমান গনি, আজিবর রহমান, জেড এম আব্দুল্যাহ আল মামুন, শেখ ই-জে এস হাসিব, মোঃ আসাদুল ইসলাম আসাদ, তারিক ইকবাল অপু, শেখ আরিফুর রহমান আলো, শরফুদ্দীন ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমিনুর রহমান চঞ্চল, সাহেদুজ্জামান সাহেদ, মোঃ জিয়াউর রহমান, শামিমুর রেজা শামীম, গাজী আব্দুস সালাম ও মোঃ আসাদুর রহমান বাবু। মামলার বাদি, আসামী এবং সাক্ষীরা সকলেই সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য।