জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত-৬


সেপ্টেম্বর ২৭ ২০২০

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীদের হামলায় একই পরিবারের ৬জন আহত হয়েছে। রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কালিগঞ্জ উপজেলার ১১ নং রতনপুর ইউনিয়নের তেরুলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। গুরুতর আহত জসিম গাজীর মা রোকেয়া খাতুন জানান, রোববার দুপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে একই গ্রামের মৃত জব্বার তরফদারের পুত্র আব্দুল মাজেদ তরফদারের নেতৃত্বে তার ভাই মুজিবর তরফদার ও আব্দুল মুছা তরফদার, মুজিবর তরফদারের পুত্র সালাউদ্দীন বাপ্পি, মৃত ওয়াজেদ তরফদারের পুত্র শফিকুল তরফদারসহ ১০/১২জন ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা একত্রিত হয়ে আমাদের জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে নেটপাটা ভাংচুর করতে থাকে। এসময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা লোহার রড়, চাইনিজ কুড়াল, হকস্টিক, দাসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এসময় জীবনের ভয়ে আমরা বাড়িতে আশ্রয় নিই। এরপরেও সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে ঢুকে সবাইকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা আমার পুত্র জসিম গাজীর মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
এসময় আহত হন মোশাররফ গাজীর পুত্র জসিম গাজী (২৭), আব্দুল ওয়াহেদের স্ত্রী মাজেদা খাতুন (৪৫), মৃত শামসুর গাজীর পুত্র শহিদুল ইসলাম (৪০), মৃত শওকত গাজীর পুত্র আব্দুস সামাদ (৪৫), আব্দুস সামাদের স্ত্রী হামিদা খাতুন (৩৭), আব্দুর রাজ্জাকের স্ত্রী সকিনা খাতুন (৩৫)। পরে স্থানীয়ররা আহতদের উদ্ধার করে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গুরুতর জখম জসিম গাজীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কালিগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসরা তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও চিকিৎসকরা তার অবস্থার কথা বিবেচনা করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, মৃত জব্বার তরফদারের পুত্র আব্দুল মাজেদ তরফদার একজন কুখ্যাত বনদস্যু। ইতোপুর্বে সুন্দরবন থেকে অস্ত্রসহ শ্যামনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। জামিন পাওয়ার কিছুদিন পরে আবারও তার নিজ বসতবাড়ি থেকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। জেল হাজত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় জমি দখলসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে।
আহতরা জানান, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে বর্তমানে আমরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। এরপরেও এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য জীবননাশের হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাই পরিবারের জীবনের নিরাপত্তা ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবী জানিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।