Satkhira Journal

প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন

সাতক্ষীরায় করোনা পরিস্থিতি চরমে। ঘরে ঘরে করোনার ভয়াল থাবায় ডুকরে কাঁদছে অসংখ্য পরিবার। দিনে দিনে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অক্সিজেনের অভাবে ঝরে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। সংকটময় এই পরিস্থিতিতে কোভিড আক্রান্ত মুমূর্ষ রোগীকে অক্সিজেন সেবা প্রদানে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন নামক সেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে কর্মহীন পরিবারে সবজি বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

”নিশ্চিন্তে নি:শ্বাস” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে এই সংগঠন। সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে গঠিত এ সংগঠনের মূল লক্ষ্য করোনাক্রান্ত মুমূর্ষ রোগীদের অক্সিজেন সেবা নিশ্চিত করা। এরইমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে শতাধিক করোনা রোগীকে অক্সিজেন সেবা প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে এই সংগঠনের হাতে রয়েছে ৬৭ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ২টি কনসানট্রেটর। দেড় লক্ষ টাকা মূল্যের এক একটি কনসান্ট্রেটরের মাধ্যমে করোনা রোগীকে সিলিন্ডার ছাড়াই সরাসরি অক্সিজেন সেবা প্রদান করা যায়। পাশাপাশি সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র এবং তাদের বাবা-মা, স্ত্রী বা সন্তানরা কোভিড আক্রান্ত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য সকল খরচ বহন করার মহতী উদ্যেগ গ্রহন করেছে সাতক্ষীরা “সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন।”

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০০৩ ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমান খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: দেবদাস পাল; MBBS, FCPS (Med-Final Part) CCD, CMU, HMO (Medicine)। এছাড়াও করোনায় মৃত ব্যাক্তিদের এ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ দাফন-কাফনের জন্য সকল ব্যবস্থা করে দিচ্ছে ”সাতক্ষীরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন।”

করোনা সংকট মোকাবেলায় প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সিলিন্ডারের সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে, পাশাপাশি রোগীর চিকিৎসায় সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ সহায়তার পাশাপাশি প্রতি ব্যাচ থেকে সম্মিলিতভাবে অর্থ সংগ্রহ করে নতুন সিলিন্ডার কেনা হচ্ছে। বর্তমানে খুলনা বিভাগের মধ্যে বিশেষায়িত কয়েকটি হাসপাতাল ছাড়া এই সংগঠনের সংগৃহীত সিলিন্ডার সংখ্যা ও সেবাপ্রদানের মাত্রা সবচেয়ে বেশি।

মানবিক এ কর্মকান্ডের সম্মুখভাগের নেতৃত্বে রয়েছেন- মাতিন (ব্যাচ ১৯৮৭), বায়রন (ব্যাচ ১৯৮৮), রাসেল (ব্যাচ ১৯৯৪), ইভন (ব্যাচ ১৯৯৭), তমাল (ব্যাচ ২০০৬), জিতু (ব্যাচ ২০১২) সহ প্রমুখ।