বিধিনিষেধের মধ্যেও সড়কে ঝরল ৪৬৮ প্রাণ


মে ২ ২০২১

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এপ্রিল মাসের শুরু থেকেই চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। জরুরি পণ্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল। এরপরও এপ্রিল মাসে ৪৩২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। রোববার (০২ মে) বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির তৈরি করা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অপেক্ষাকৃত কম যানবাহন চলাচল করায় বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কে অতিরিক্ত গতির কারণে অধিকাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দেশের বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এপ্রিলে সড়কে দুর্ঘটনার প্রতিবেদন তৈরি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেল। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, নিহতদের মধ্যে ১১২ জন চালক, ৮২ জন পথচারী, ৩৮ জন নারী, ২৬ জন ছাত্র-ছাত্রী, ৪২টি শিশু।
ভিডিও দেখুন

প্রতিবেদনের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সর্বোচ্চ ২২১টি দুর্ঘটনা ঘটেছে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানে, ১৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে মোটরসাইকেলে। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইকে ৫৫টি, নসিমন ও করিমনে ৬৪টি, সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫২টি, প্রাইভেটকারে ৩০টি ও বাসে ২০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এপ্রিলে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ৮ এপ্রিল; ওইদিন ২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও ৩৩ জন আহত হন। সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা সংগঠিত হয় ১৪ এপ্রিল; ৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত ও ৬ জন আহত হন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. সাইফুন নেওয়াজ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা এই বিধিনিষেধের মধ্যেও পর্যবেক্ষণ করেছি বেশির ভাগ দুর্ঘটনার মূল কারণ ছিল যানবাহনের অতিরিক্ত গতি। স্বাভাবিক সময়েই দুর্ঘটনার নেপথ্যে বড় কারণ থাকে অতিরিক্ত গতি। প্রায় ৯০ শতাংশ দুর্ঘটনার নেপথ্যে অতিরিক্ত গতি মূল কারণ বলে চিহ্নিত হয়েছে। বিধিনিষেধের যে পরিস্থিতি চলছে তাতে গতিসীমা লঙ্ঘন প্রবণতা আরও বেড়েছে।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিধিনিষেধের মধ্যে সড়কে শৃঙ্খলা ছিল না। যে যেভাবে পেরেছে বেশি গতিতে গাড়ি চালিয়েছে। এপ্রিলে দুর্ঘটনার বড় কারণ ছিল এটি।