সিনহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়: র‌্যাব


ডিসেম্বর ১৩ ২০২০

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এমন তথ্য, সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতেই ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। রবিবার বিকেল তিনটার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের অস্থায়ী মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব সদর দপ্তরের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, মেজর সিনহা মো. রাশেদের ধারণ করা ডিজিটাল কনটেন্ট ওসি প্রদীপ কুমারের জন্য হুমকি হওয়ায় ওসি প্রদীপ পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটায়। এর আগে সকাল ১০টায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার ও এসআই লিয়াকত আলীসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট আদালতে জমা দেয় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেওয়া হয়।

গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফ শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি করে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়।

আদালত মামলাটির তদন্ত করার আদেশ দেন র‌্যাবকে। এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার অভিযোগে পুলিশের দায়ের মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এ ছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা-পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও।

মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৪জন আসামিকে র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদের মধ্যে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও কনস্টেবল রুবেল শর্মা ছাড়া ১২ জন আসামি আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।