নদীর তীর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাশাপাশি উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারের কাছ থেকে আদায় করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি। রবিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বুড়িগঙ্গা নদীর তলদেশে জমাট বাঁধা পলিথিন দ্রুত অপসারণ করার জন্য বলেছে কমিটি। গ্রেভ ড্রেজার সংগ্রহ করে জরুরি ভিত্তিতে এই কার্যক্রম শুরু করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়, বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) উচ্ছেদ অভিযানে আর্থিক ব্যয়ভার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আদায়ের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
এ বিষয়ে কমিটির সদস্য শাজাহান খান বলেন, কমিটি উচ্ছেদের ব্যয় দখলদারদের কাছ থেকে আদায় করতে বলেছে। উদ্ধার করা জমি যাতে আবার দখল না হয়, উদ্ধারের পরপরই সেই জমিতে বনায়ন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, উদ্ধারের পর জমি আবার দখল হয়ে যায়। এই অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। বনায়ন করা হলে দখল করতে পারবে না। সে জন্য আমি এই প্রস্তাব দিয়েছি।
বৈঠকে নদী রক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ পর্যন্ত উনিশ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কমিটি নদীর সীমানার মধ্যে সরকারি-বেসরকারি কোনো সংস্থার কাছে জমি বরাদ্দ বা লিজ না দিতে বলেছে।
এ ছাড়া নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজে সহযোগিতা করার জন্য হাইকোর্ট ডিভিশন যাতে নদী দখলদারদের আপিল দ্রুত নিষ্পত্তি করে সে বিষয়ে নদী রক্ষা কমিশনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। বৈঠকে বিআইডবিস্নউটিএর অনুমতি ছাড়া যেখানে-সেখানে ড্রেজিং না করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
সভাপতি রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের সভাপতিত্বে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, রণজিত কুমার রায়, মাহফুজুর রহমান, সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, আছলাম হোসেন সওদাগর এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।