আইনপ্রণেতাদের চাপের মুখে অবশেষে শর্ত জুড়ে দিয়ে কভিড-১৯ তহবিল এবং প্রণোদনা বিলে স্বাক্ষর করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এর আগে এই বিলে স্বাক্ষর না করায় ট্রাম্পের কড়া সমালোচনা করেছিলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
কয়েক মাসের দর-কষাকষির পর গত সপ্তাহে পাস হওয়া বিলে ৯০ হাজার কোটি ডলারের যে প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে তাতে বছরে ৭৫ হাজার ডলারের নিচে আয় করা মার্কিনিদের এককালীন ৬০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল। ট্রাম্প এককালীন এ অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ২ হাজার ডলার করতে বলেন।
বিলে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক প্রণোদনার সঙ্গে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কেন্দ্রীয় বাজেটও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের একাংশ অচল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে।
ফ্লোরিডায় ছুটির দিনে অবশেষে ট্রাম্প বিলটিতে সই করেন। এতে বিশেষ করে লাখ লাখ কর্মহীন আমেরিকান স্বস্তি খুঁজে পান।
ট্রাম্প বিলের বিষয়ে টুইটে ‘সুসংবাদ’ দেওয়ার পর হোয়াইট হাউসও ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের কভিড প্রণোদনা বিলে স্বাক্ষর করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে জানায় আলজাজিরা।
তবে শর্ত জুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসকে বলেছি- আমি ব্যয়ের ক্ষেত্রে আরও অনেক কম অপচয় চাই। আরও অর্থ আমেরিকার মানুষের কাছে যাক- বয়স্ক জনপ্রতি ২০০০ ডলার এবং শিশুপ্রতি ৬০০ ডলার করা হোক।’
হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি জাড ডিয়ার বলেন, বিল থেকে ‘অপব্যয়ের উপাদানগুলো’ বাদ দিতে ‘শক্তিশালী বার্তা’ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া ব্যবহারকারী কর্তৃক সামাজিক প্ল্যাটফর্মে আপত্তিকর শব্দ, ছবি এবং ভিডিও পোস্ট করার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্টদের আইনিভাবে দায়বদ্ধ না করার বিষয়ে আনা সেকশন ২৩০ পুনর্বিবেচনা কিংবা বাতিলের বিষয়েও শর্ত জুড়ে দেন ট্রাম্প।
আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার অপেক্ষায় থাকা বাইডেন বিল স্বাক্ষরে ট্রাম্পের গড়িমসি নিয়ে শনিবার লিখিত বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ট্রাম্পের এই দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা ধ্বংসাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।’