তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


নভেম্বর ১৬ ২০২০

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে অ্যাসাইনমেন্ট ফটোকপিতে সিল মোহর দেওয়া ও জমা নেওয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিভাবকরা জানান কোভিড ১৯ এর করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারণে সারাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনলাইনের মাধ্যামে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ও পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন সরকার। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট টাকা না নেওয়ার জন্য সরকার ঘোষণা করেছেন।
কিন্তু তালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরকারের দিক নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট ফটোকপিতে সিলমোহর দেওয়ার জন্য প্রতিটি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৩০-৫০ টাকা করে আদায় করেছেন। এরপর অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার সময় প্রধান শিক্ষক প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছেন। আর অভিভাবকরা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অ্যাসাইনমেন্টপত্র জমা নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। অভিভাবক নাছির উদ্দীন জানান, আমার ছেলে অ্যাসাইনমেন্ট স্কুলে জমা দিতে গেলে তার কাছে ১২ শত টাকা চান প্রধান শিক্ষক। কিন্তু আমি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার ছেলের অ্যাসাইনমেন্ট পত্র জমা নেয়নি প্রধান শিক্ষক। নিহারঞ্জন জানান আমার দাদু প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি অ্যাসাইনমেন্ট ফটোকপিতে সিল মোহর করতে নিয়ে গেলে অ্যাসাইনমেন্ট ফটোকপিতে সিল মোহর করতে ৩০ টাকা নেয় প্রধান শিক্ষক। পরে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গেলে স্কুলের বিভিন্ন ফি টাকা পরিশোধ করতে হবে। তাই না হলে প্রধান শিক্ষক অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেবেন না বলে তিনি জানান।
সূত্রে আরও জানান স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সময় বিদ্যালয়ের জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন, সেশন ফিসহ বিভিন্ন পরিশোধের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা চাওয়ায় অনেকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে পারেনি। স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা না নেওয়ায় বিপাকে পড়েছে অনেকে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া সদর উপজেলার নবজীবন ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নামে এ ধরনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার জন্য অভিভাবকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম বলেন অ্যাসাইনমেন্ট আমরা কোনো টাকা নেয়নি। এব্যাপারে জেলা প্রশাসকের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।