Satkhira Journal

শুরু আর শেষ

শেখ হারুন


যদি আবার ফিরে আসি,
ফিরে আসতে পারি সেই,
কুপি বাতির আলো জ্বালিয়ে।
কে তুমি, আমার খোকাকে দেখেছ?
চোখ ছানাবড়া।
সেই কাঁঠাল পাতার হাট বসানো খেলায়,
যদি আবার পঁচিশ পয়সায় সস্তা তিলে গজা পাই।
ঢের হয়েছে, এবার থামাও
হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা তোমার বাঁশির সুর।
যৌবনের উম্মদনায় যে পাগল হয়,
সে পৃথিবীর সব পাগলের রাজার রাজা,
কলমের ডগা ফেটে রক্ত বাহির হয়
তবু জন্ম হয়না একজন বিদ্বানের।
প্রয়সী কথা দিয়েছিলে সেদিন রাতে,
মোর বেলা যদি আগে ফুরায়
শ্রাবণ ঘোরে সমাধির পাশে
অশ্রু সজল বিসর্জন যাবে।
জানি সে সব গাঁথা ছিল
আমার ও মরমে।
তোমার ও কাঁঠাল কাঠের
সোনা রঙের হাত দুটো
হয়ত হবে অন্য কারো উপনিবেশ।
নোনা জল ফুরিয়েছে অনেক আগে,
ঝাঁপসা চোখে শুধু এখন তপ্ত রুধির।
পন্ডিতের পান্ডিত্ব, কবির কবিতা,
জ্যোর্তি বিদের ভবিষ্যত বাণী,
এখন তা মূর্খ জনের মানি ব্যাগে।
কি ভুল ভেবেছ জানি,
নিজের পরমায়ু কেউ কম ভাবেনা।
পশ্চিমে হেলেছে দেখ, রক্ত মাখা সূর্য,
কারো এখন শুভ প্রভাত,
তাতে তোমারী বা কি।
পৃথিবী গ্রহের চাকা খুবই ঘূর্ণয়মান।
তেজ দীপ্ত জীবনযার
এ রঙ্গ মঞ্চে অভিনয় শুধুই তাহার।
শপথ মানিনা মিছে শান্তনা
বিশ্বাসের হয়েছে প্রবাস।
ওহে বেয়াকুফ প্রমাণ মিলিবে
যেদিন ফুরাবে হৃদয় শ্বাস।
জীবন স্রোতের তরঙ্গ মেলায়
শত ডুবিতেছি আর ভাসিতেছি হায়,
জারজ শ্যাওলা আর বেদুঈন শৈবাল
জীবন সে ঠিকানায়।
অবুঝ প্রেতাত্বা
দ্যুলোক থেকে দেখে নিও,
সন্ধিক্ষণের সুখ,
একগাল অট্টহাসির ঝিলিক,
সে মধুময় শান্তির লীলা আর লাল মেলা।