স্বাক্ষর জাল করে সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এড. আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দাখিল এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে কতিপয় আইনজীবীরা। আইনজীবীদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে অভিযোগপত্র দাখিল করায় সাতক্ষীরা জজকোর্টর আইনজীবিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এড. আল মাহমুদ পলাশ, এড. শাহনেওয়াজ পারভীন মিলি এবং এড. মোড়ল হায়দায় জানান, ‘তারা এ অভিযোগপত্রে কোন স্বাক্ষর করেন নি। অভিযোগপত্রে আমাদের যে স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে, এব্যাপারে আমরা অবগত নই। স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এ অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।’
আইনজীবীরা জানান, ‘জামায়াত শিবিরের মামলা পরিচালনায় বর্তমান পিপি এড. আব্দুল লতিফ কঠোর ভূমিকা রাখায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা উক্তি ব্যবহার করে অভিযোগ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ এবং এড. রায়হান অধিকাংশ জামায়াত-শিবিরের মামলা পরিচালনা করে। এছাড়া এড. আজাহার হোসেন দুর্নীতির দায়ে নোটারী পাবলিক থেকে বহিস্কৃত হন বলে জানান আইনজীবীরা।’
সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এড. আব্দুল লতিফ জানান, আমিসহ অন্যান্য আইন কর্মকর্তাদের নিয়ে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত এড. আজহার হোসেন কতিপয় আইনজীবিদের ভুল বুঝিয়ে এবং কয়েকজন আইনজীবির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে একটি অভিযোগ উপস্থাপন করেছেন। রোববার সকালে কয়েকজন আইনজীবীদের সাথে নিয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মাছ না পেয়ে ছিপে কামড় মারার পায়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরো জানান, আজকের এ প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতিবাদে আগামীকাল (সোমবার) সকাল ১০টায় সকল আইনজীবীরা সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। যথাসময়ে সকল আইনজীবিসহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দকে উপস্থিত থাকার আহবান জানান সাতক্ষীরা জজকোর্টের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) এড. আব্দুল লতিফ।